কোলাজেন কি? তারুণ্য ধরে রাখতে কোলাজেনের প্রয়োজনীয়তা!

ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতে কোলাজেনের কোনো বিকল্প নেই। কোলাজেন হলো মানবশরীরের সৃষ্ট প্রাকৃতিক প্রোটিন। আমাদের শরীরের হাড়, পেশি, অস্থিসন্ধি, চুল, নখ ও ত্বকের গঠনে বিশেষ ভূমিকা রাখে। রক্তনালি, চোখের মণি, দাঁতেও এটি থাকে।

বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীরের এর স্বাভাবিক উৎপাদন ক্ষমতা হ্রাস পেতে থাকে। এ জন্য বয়স্ক মানুষের হাড়, পেশি ও অস্থিসন্ধি দুর্বল হতে থাকে। ত্বকে ভাঁজ পড়তে থাকে।

দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়ার দেশ – জাপান, কোরিয়া, চীন, সিঙ্গাপুর ইত্যাদি দেশের মানুষের তারুণ্যোজ্জ্বল ত্বকের অন্যতম রহস্য কোলাজেন ডায়েট। তাঁরা দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় এমন খাবার রাখে, যা শরীরে কোলাজেন বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। এ জন্যই অন্যান্য দেশের তুলনায় এসব দেশের নাগরিকদের তাদের বয়সের চেয়ে অনেক বেশি তরুণ দেখায়।

কোলাজেনের অভাবে কি হয় ?

মানুষের বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে এই কোলাজেন উৎপাদন হ্রাস পেতে শুরু করে, ফলে শরীরে বয়সের ছাপ পড়তে শুরু করে।

কোলাজেনের অভাব হলে শরীরের মধ্যে হাড়ের ভঙ্গুরতা দেখা যায়। ফলে হাড় বা অস্থি দুর্বল হয়ে থাকে। এই সকল সমস্যা শুরুতে দেখা যায়। তবে এই অভাব দূর করতে হলে আমাদের প্রথম থেকেই এই বিষয়ে সর্তক থাকতে হবে।

বয়স বেড়ে গেলে বা কোলাজেনের মাত্রা অনেক কমে গেলে যে সমস্যা দেখা যায় তার মধ্যে এই গুলো অন্যতম।

  • শরীরের মধ্যে দ্রুত বয়সের চাপ পড়া শুরু হয়।
  • শরীর দুর্বল হয়ে পরে এবং শক্তি হ্রাস পেতে শুরু করে ফলে কার্য ক্ষমতা কমে যায়।
  • ত্বকের চামড়া পাতলা হয়ে যায় এবং বিভিন্ন চর্মরোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে কম বয়সে।
  • Collagen এর অভাবে মাথা দুর্বল হয়ে যায় এবং চুল ঝড়তে শুরু করে। ফলে মাথায় টাকের সৃষ্টি হয়।
  • ত্বক লাল হয়ে যায়, পাতলা এবং শক্ত হয়ে যায় ফলে এবং লাল লাল ফুসফুড়ি দেখা যায়।
  • খাদ্য হজমে বা পরিপাকে সমস্যা সৃষ্টি হয়।
  • শরীরে চামড়া পাতলা এবং শক্ত হয়ে যাওয়ার কারনে ফুসফুসে সমস্যা হয়। শ্বাসকার্য পরিচালনা করতে অনেক কষ্ট হয় ।
  • শরীরের জয়েন্টে জয়েন্টে ব্যথা অনুভব হয়। ফলে অস্থি বা হাড় দুর্বল হয়ে থাকে।
  • বুকে ব্যথা অনুভব হতে থাকে।
  • চোখ প্রথমে শুষ্ক হয়ে যাবে এবং পড়ে চোখে দেখা অনেক সমস্যা হয়ে যাবে।
  • পেশি দুর্বল হয়ে থাকে এবং অবসাদ লাগবে শরীরে।
  • মাথা ব্যথা, স্ট্রোক, মাসিকে সমস্যা, এসিডিটি ইত্যাদিসহ প্রধান অঙ্গে অনেক ধরনের সমস্যা হয়ে থাকে।
  • এক কোথায় কোলাজেনের অভাবে শরীরের ইমিউনিটি সিস্টেমকে ভেঙ্গে পরে!

কোলাজেন বৃদ্ধি করার উপায়

প্রাকৃতিকভাবে কিভাবে কোলাজেন বৃদ্ধি করা যায় সেই নিয়ে এখন আলচনা করা হবে। ৬ টি উপায়ে এর বৃদ্ধি নিয়ে আলোচনা করব। প্রাকৃতিকভাবে কিভাবে, কোলাজেন হ্রাসকে প্রতিহত করতে পারি। এতে আপনার শরীর , ত্বক, চুল, অস্থি ইত্যাদি ভাল রাখতে সাহায্য করবে।

৬-টি উপায়ে শরীরে কোলাজেন বৃদ্ধি করার কৌশল নিয়ে আলোচনা করা হলঃ

১) Aloe Vera:

Aloe Vera জেল দীর্ঘদিন ধরে ক্ষত নিরাময়ে এবং প্রশান্ত করার জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে। এটি কাটা এবং পোড়াগুলির চিকিৎসায় জন্য ব্যবহার করা হয়। কোলাজেন সরাসরি খাদ্য থেকে গ্রহন করা হয় অথবা শরীরের বাইরে বা ত্বকে প্রয়োগ করে কোলাজেনের মাত্রা বৃদ্ধি করা হয় এই Aloe Vera জেলের মাধ্যমে। এই কোষ-বৃদ্ধি উদ্দীপক সম্পত্তি আপনার ত্বকে কোলাজেন উৎপাদন বাড়িয়ে তুলতে সহায়তা করতে পারে। অনেক গবেষনা এবং পরীক্ষা থেকে জানা গেছে, অ্যালোভেরা ত্বকের উন্নয়নে অসাধারন ভূমিকা পালন করে থাকে।

২) ভিটামিন-সি যুক্ত খাবারঃ

Vitamin-C মানবদেহের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কোলাজেন বৃদ্ধি করতে এই ভিটামিন-সি অসাধারন ভুমিকা পালন করে থাকে। hyaluronic acid সংশ্লেষণের জন্য ভিটামিন সি গুরুত্বপূর্ণ। hyaluronic acid পুনরুদ্ধারের সময় দ্রুত এবং বেদনাদায়ক কোষের সংযোগস্থল উপশম করতে সাহায্য করে।  ভিটামিন সি এর পর্যাপ্ত মাত্রা ব্যতীত আপনার শরীর hyaluronic অ্যাসিডযুক্ত খাবারের পুরো উপকার পাবেন না। hyaluronic অ্যাসিড প্রাকৃতিকভাবে শরীরে পাওয়া যায় তবে আমাদের বয়স বাড়ার সাথে সাথে এটি হ্রাস পায়। ভিটামিন সি এবং অ্যামিনো অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া শরীরের hyaluronic  অ্যাসিড এবং কোলাজেনের মাত্রা বাড়িয়ে তুলতে পারে কারণ এটি উভয়ই ত্বকের জন্য গুরুত্বপূর্ণ । কমলা, লাল মরিচ, কেল, ব্রাসেলস স্প্রাউট, ব্রোকলি এবং স্ট্রবেরি জাতীয় খাবারগুলি ভিটামিন সি সমৃদ্ধ। শরীরে যথেষ্ট পরিমান ভিটামিন-সি থাকলে hyaluronic এসিড উৎপাদন বৃদ্ধি পায় ফলে মানবদেহে কোলাজেনের পরিমান বৃদ্ধি পায়। ত্বকের যন্ত্রে কোলাজেনের উপকারিতা অবিস্বরনীয়।

৩) জিনসেং(Ginseng)

অনেকে মনে করে থাকেন Ginseng শুধু সেক্সের শক্তি বৃদ্ধি করে থাকে। কিন্তু এই হারবাল সেক্সের শক্তি বৃদ্ধি করে না শুধু এটা দেহের মধ্যে নানা ধরনের শক্তি প্রধান করে থাকে। জিনসেং বাংলাদেশে খুব কম পরিমান উৎপাদ হয়। Ginseng দেহে কোলাজেনের পরিমান বৃদ্ধি করে থাকে তবে দেহের সকল অংশের জন্য Ginseng ব্যবহার করা হয়ে থাকে। অনেকের ভুল ধারনা Ginseng সেবন করলে খুব দ্রুত শক্তি বৃদ্ধি হয়ে থাকে।

Ginseng বিভিন্ন ধরনের পন্যে পাওয়া যায়। ভেষজ দ্রবে, বিভিন্ন ট্যাবলেটে ইত্যাদি আকারে বাংলাদেশ পাওয়া যায়। তবে Ginseng সেবনের পূর্বে অবশ্যই ডাক্টারের পরামর্শ নেয়া উচিত। Ginseng দেহে কোলাজেনের পরিমান বৃদ্ধি করে থাকে এবং দেহকে শক্তিশালী, সুগঠিত করতে সহায়তা করে।

৪) ফেসিয়াল ম্যাসাজ (Facial Massage)

ফেসিইয়াল ম্যাসাজ কোলাজেন উৎপাদন বৃদ্ধি করতে পারে। এটা ত্বকের ক্ষেত্রে অসাধারন কাজ করে থাকে। এই থেরাপির সাহায্যে দেহে রক্ত সঞ্চলন বাড়াতে ভুমিকা রাখে। Facial Massage করে তারুন্যেকে ধরা রাখা এবং ত্বকের মলিনতা ফিরে নিয়ে আসতে সাহায্য করে কোলাজেন বৃদ্ধির মাধ্যমে।

৫) কোলাজেন ক্রিমঃ(collagen Cream)

বাজারে বিভিন্ন প্রকারের কোলাজেন ক্রিম বিক্রি করা হয়। কোলাজেন শুধু দেহের ভিতরে নয়, দেহের বাইরে ব্যবহার করা হয় ত্বকের যত্নে। এই ক্রিম দেহের উপরের অংশে ত্বকে ব্যবহার করা হয়। এমন একটা ক্রিম নির্বাচন করতে হবে যাতে অ্যামিনো এসিড রয়েছে যা আমাদের ত্বকে কোলাজেন বাড়াতে ভুমিকা পালন করে থাকে।

৬) ধূমপান পরিহার করাঃ

ধূমপানের ফলে দেহে কোলাজেনের উৎপাদন ব্যাহত হয়ে থাকে। তখন শরীরে নানা প্রকারের কোলাজেনের ঘাটতি দেখা যায়। ধূমপান করলে কোলাজেন শরীরে উৎপাদন হতে পারে না । ফলে ত্বক, চুল, অস্থি দুর্বল হয়ে পড়ে। দেহের কোলাজেন বৃদ্ধি ঠিক রাখতে ধূমপান পরিহার করা বাধ্যতামূলক।

কোলাজেন সমৃদ্ধ খাবার (Rich Collagen Foods )

সাধারনভাবে একটা বিষয় লক্ষ করা যায় যে, বয়স বাড়ার সাথে সাথে শরীরে কোলাজেন উৎপাদন হ্রাস পেতে থাকে। এই কোলাজেনের হ্রাসকে প্রতিরোধ করতে প্রতিটি মানুষের কোলাজেন সমৃদ্ধ খাবার(Rich Collagen Foods) খাওয়া উচিত।

Vitamin-C সমৃদ্ধ খাবার

ভিটামিন-সি এর পরিমান বাড়তে থাকলে কোলাজেন বৃদ্ধি পেয়ে থাকে। যে সকল খাবারে বেশি পরিমান ভিটামিন-সি পাওয়া যায় তার মধ্যে কিউই, লেবু,  আমড়া,  ফুলকপি, লেটুস পাতা ইত্যাদি খাবারে প্রচুর পরিমানে Vitamin-C থাকে। বেরি ও টক জাতীয় খাবারে বেশি পরিমান Vitamin-C পাওয়া যায়, যা দেহে কোলাজেনের পরিমান বৃদ্ধি পেয়ে থাকে।

মিষ্টি আলু, গাজর, আম

মিষ্টি আলুতে প্রচুর পরিমানে Vitamin-A পাওয়া যায়। এই Vitamin-A দেহে কোলাজেন বৃদ্ধি করে থাকে। মিষ্টি আলুর পাশাপাশি গাজর, আম জাতীয় ফল এবং বিভিন্ন ধরনের সবজি কোলাজেন সমৃদ্ধ খাবার (Rich Collagen Foods) তালিকায় অন্যতম ।

 টমেটো

টমেটোর মধ্যে প্রধান উপাদান হিসাবে থাকে লাইকোপিন নামক অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট । এই লাইকোপিন কোলাজেনের ক্ষয় রোধ করতে থাকে এবং দেহে কোলাজেন উৎপাদন বাড়িয়ে দেয়। বায়ু দূষনের কারনে শরীরের ত্বকে যে ক্ষতি হয় তা রোধ করতে টমেটো দারুন ভুমিকা পালন করে থাকে। তাই প্রতিদিন শরীরে কোলাজেন এর পরিমান বাড়াতে টমেটো খাওয়া দরকার।

লেবু

আমরা Vitamin- C চিন্তা করলেই কাঁচা ও টক জাতীয় খাবারের কথা আসে। তার মধ্যে লেবু একটি। প্রতিদিন আমরা কোন না কোন ভাবে লেবু গ্রহন করে থাকি। লেবুতে থাকে সাইট্রিক এসিড। এই সাইট্রিক এসিড শরীরে কোলাজেনের পরিমান বাড়িয়ে থাকে। লেবুর শরবত, খাবারের সাথে ও যেকোন উপায়ে আমরা লেবু গ্রহন করে থাকি যা দেহে ভিটামিন-সি বাড়িয়ে কোলাজেনের পরিমান বাড়িয়ে থাকে। যা আমাদের ক্ষতস্থান দ্রুত সারাতে সাহায্য করে থাকে । লেবু একটা অসাধারন কোলাজেন সমৃদ্ধ খাবার।

কাঠবাদাম

কাঠবাদাম একটা শুকনো খাবার। শুকনো খাবারের মধ্যে কাঠবাদামের গুনাবলি অনেক। কাঠবাদামে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ক্যালসিয়াম। এছাড়াও কাঠবাদামে যে সকল উপাদান রয়েছে তার মধ্যে ম্যাগনেসিয়াম, Vitamin B, Vitamin-E, জিংক, আয়রন ইত্যাদি উপাদান। মানবদেহে ৫০ বছরের পর থেকে শরীরে কোলাজেন উৎপাদন হ্রাস পেতে থাকে। এই হ্রাস রোধ করতে প্রতিদিন পরিমিত পরিমাণে কাঠবাদাম গ্রহন করা উচিত।

সবুজ শাকসবজি

সবুজ শাক-সবজিতে রয়েছে অনেক খনিজ লবন ও পুষ্টি গুনাগুন। কোলাজেন বৃদ্ধিকারি খাবার এটি। দেহে এই সকল উপাদানের পরিমান বাড়িয়ে দিয়ে শরীরে সুস্থতা নিশ্চিত করে। প্রতিটি মানুষের প্রতিদিন নির্দিষ্ট পরিমান শাকসবজি খাওয়া প্রয়োজন কেননা এটা কোলাজেন বৃদ্ধির সাথে সাথে দেহকে সুষ্টু, স্বাবলীল ও বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করতে অসাধারন ভুমিকা পালন করে থাকে। তাই লাল, বেগুনী শাকসবজির পাশাপাশি সবুজ শাকসবজি দেহে এর পরিমান বৃদ্ধি করে থাকে। সবুজ শাকসবজি কোলাজেন সমৃদ্ধ খাবার যা আমাদের প্রতিদিন খাওয়া উচিত।

কোলাজেন ক্রিম, ট্যাবলেট, পাউডার, সাপ্লিমেন্টস এর উপকারিতা ও ব্যবহার

দুই ধরনের কোলাজেন সাপ্লিমেন্ট খুব জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে।

  • হাইড্রোলাইজড কোলাজেন
  • জিলেটিন

এইগুলো আগে থেকেই প্রোটিন ভেঙে পেপটাইডস এ পরিনত হয়ে থাকে ফলে আমাদের শরীর তা সহজেই আত্মীকরন করতে পারে। কোলাজেন সাপ্লিমেন্টস নিয়ে খুব বেশি গবেষণা করা হয়নি। তবে নিম্নলিখিত বিষয়গুলোতে এর উপকারিতা দেখা গেছেঃ

পেশির বৃদ্ধি

একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে যে পুরুষদের ভেতর কোলাজেন পেপটাইড সাপ্লিমেন্টস এবং স্ট্রেন্থ ট্রেনিং এর মাধ্যমে পেশির পরিমান ও শক্তি বৃদ্ধি করা সম্ভব হয়েছে।

আর্থারাইটিস

ইঁদুরের ওপর কোলাজেন সাপ্লিমেন্টস এর পরীক্ষা করে দেখা গেছে যে পোস্টট্রমাটিক অস্টিওআর্থারাইটিসের বৃদ্ধির গতি কমিয়ে দেয় কোলাজেন।

ত্বকের তারুণ্য

যেসব মহিলারা কোলাজেন সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করেন তাদের ত্বকের তারুন্যের উন্নতি দেখা গেছে। ট্রপিক্যাল ট্রিটমেন্ট হিসাবে বলিরেখা কমিয়ে ত্বকের তারুণ্য বজায় রাখতে ব্যবহার করা হয়।

বর্তমানে কোলাজেন হিসাবে পাউডার ফর্ম, যা কোলাজেন প্রসাধনী, কোলাজেন পরিপূরকগুলিতে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়।  সুবিধাগুলি অবশ্যই ত্বকের যত্ন এবং চুলের চিকিত্সার জন্য কোলাজেনে প্রদর্শিত হয়েছে।

বাজারে বিভিন্ন প্রকারের কোলাজেন ক্রিম বিক্রি করা হয়। কোলাজেন শুধু দেহের ভিতরে নয়, দেহের বাইরে ব্যবহার করা হয় ত্বকের যত্নে। এই ক্রিম দেহের উপরের অংশে ত্বকে ব্যবহার করা হয়। এমন একটা ক্রিম নির্বাচন করতে হবে যাতে অ্যামিনো এসিড রয়েছে যা আমাদের ত্বকে কোলাজেন বাড়াতে ভুমিকা পালন করে থাকে।

উপসংহার

শরীরের সুস্থতা রক্ষার্থে দেহে কোলাজেনের পরিমান বৃদ্ধি করা অতীব প্রয়োজন। কোলাজেনের অভাব হলে দেহ ভঙ্গুর হয়ে যায়, চুল পড়তে শুরু করে,  ত্বকে নানা ধরনের ক্ষতের সৃষ্টি হয় ইত্যাদি।

এক কথায়, কোলাজেন শরীরের ইমিউনিটি সিস্টেমকে সুষ্টুভাবে পরিচালনা করতে ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই, প্রতিদিনের খাবারে কোলাজেন সমৃদ্ধ খাবার থাকাতা অত্যাবশ্যক তাতে কোন সন্দেহ নেই।

হলুদ দুধ স্বাস্থ্যের জন্য কতটা উপকারী ?

ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড, এক বিস্ময়কর খাদ্য উপাদান!

Related Post