এইগুলো বাতাসে পাকে নাই !
এক বৃদ্ধ ট্রেনে উঠেছে। উপরোক্ত বগিতে বৃদ্ধ একাই ছিলো।
হঠাৎ ১২ জন যুবক চলন্ত ট্রেনের
ঐ বগিতে উঠেই চিৎকার করে গান গাচ্ছিলো।
ছুরি দিয়ে আম কেঁটে কেঁটে খাচ্ছিলো ।
হঠাৎ একটি যুবক বলে উঠলোঃ “চল
আমরা ট্রেনের চেইনটা টেনে ট্রেনটাকে
থামিয়ে দেই।”
২য় যুবকঃ “না দোস্ত, লেখা আছে পাঁচ
শত টাকা জরিমানা অনাথায় ছয় মাস জেল।”
১ম যুবকঃ “আমরা একশো টাকা করে চাঁদা তুলি।
বারোশো টাকা হবে বাকী সাত শো টাকা দিয়ে লাঞ্চ করবো। Let’s fun friends”
(বারোশো টাকা তুলে ১ম যুবকের পকেটে রাখলো)
৩য় যুবকঃ “দোস্ত,
আমরা চেইন টেনে ঐ বুইড়াটাকে দেখিয়ে দিলে পাঁচ শো টাকাও বাঁচলো Fun হলো।
আমরা ১২জনের সাক্ষী দিলে টিটি মেনে যাবে।”
বৃদ্ধ কাঁদতে কাঁদতে হাত জোড় করে বললোঃ
“বাবা, তোমরা আমার ছেলের বয়সী।
কেনো আমাকে বিপদের মধ্যে ফেলবে।”
যুবকগুলো বৃদ্ধের অনুরোধ অবজ্ঞা করে চেইনটা টান দিতেই। টিটি চলে এসে জিজ্ঞাসা করলোঃ “কে চেইন টেনেছে?”
যুবকগুলো বৃদ্ধকে দেখিয়ে বললোঃ
“ঐ চাচা মিয়া টেনেছে।”
টিটি বৃদ্ধকে বললোঃ “অকারনে চেইন টানলে পাঁচ শত টাকা জরিমানা অথবা ছয় মাস জেল।”
যুবকগুলো চিৎকার করে বললোঃ “স্যার,
বুইড়া অকারনেই টেনেছে। হো হো হো হো………”
বৃদ্ধ একটু দাঁড়িয়ে বললোঃ “টিটি সাহেব
আমি বিপদে পড়েই চেইন টেনেছি।”
টিটি বললোঃ “কি বিপদ?”
বৃদ্ধ বললোঃ “ঐ যুবকগুলো আমার গলায় ছুরি ধরে আমার বারো শো টাকা ছিনতাই করেছে।”
টিটি বললোঃ “কি সর্বনাশ?”
বৃদ্ধ বললোঃ
“দেখুন ঐ যুবকটির পকেটে টাকা আর ঐ ব্যাগে ছুরি।”
টিটি পুলিশ কল করে ১২জন যুবককে গ্রেফতার করে নিয়ে যাচ্ছিলো।
তখন বৃদ্ধ তাঁর পাঁকা চুল/দাঁড়ি দেখিয়ে
যুবকগুলোকে বললোঃ
“এইগুলো বাতাসে পাকে নাই।”
শিক্ষণীয়ঃ আমরা বৃদ্ধ মানুষগুলোকে যতই
ব্যাকডেটেড মনে করি না কেনো।
তারা কিন্তু আমাদের বয়স পার হয়েই এসেছে।