International

আমেরিকার মধ্যবর্তী নির্বাচন: বাইডেনের জনপ্রিয়তার পরীক্ষা, ট্রাম্পের অস্তিত্বের লড়াই!

ব্যালটে কোথাও তাঁদের নাম নেই, কিন্তু আমেরিকার মধ্যবর্তী ভোটে অগ্নিপরীক্ষা তাঁদের দু’জনের— প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ! 

যুক্তরাষ্ট্রে কংগ্রেসের মধ্যবর্তী নির্বাচন আজ। ভোটের জন্য প্রস্তুত পুরো দেশ। শেষ মুহূর্তের প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করেছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মূলত দুই বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সম্পর্কে নিজেদের মনোভাব জানাতে আজ ভোট দেবেন দেশটির জনগণ।

ট্রাম্প আদৌ পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন কি না, তা মধ্যবর্তী নির্বাচনে রিপাবলিকানদের ফলাফলের উপর অনেকাংশে নির্ভর করবে বলে মনে করা হচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের চার বছর মেয়াদের মাঝামাঝি সময়ে যেহেতু এই নির্বাচন হয়, তাই একে মধ্যবর্তী নির্বাচন বলা হয়। ক্ষমতা ধরে রাখার পাশাপাশি প্রেসিডেন্টের জনপ্রিয়তা যাচাইয়েরও অন্যতম মাধ্যম এটি। তবে কেবল কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেট এবং নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদের সদস্যদের নির্বাচিত করার ভোটই হয় না।

কালকের নির্বাচনে গভর্নর এবং অ্যাটর্নি জেনারেল পদেও ভোট হবে। যুক্তরাষ্ট্রে সিনেটের সদস্য সংখ্যা ১০০। এর মধ্যে ৩৫টির ভোট হবে কাল। আর প্রতিনিধি পরিষদের ৪৩৫ আসনের সবকয়টিতেই ভোটাভুটি হবে। ৫০ রাজ্যের মধ্যে ৩৬টিতে গভর্নর পদে ভোট হবে। আর ১৯ জন নতুন অ্যাটর্নি জেনারেল নির্বাচিত হবেন।

বর্তমানে সিনেটের ১০০ আসনের মধ্যে ৫০টি ডেমোক্র্যাটদের এবং ৫০টি রিপাবলিকানদের। তবে ভাইস প্রেসিডেন্টের ভোটটি ডেমোক্র্যাটরা পাওয়ায় বিল পাশ হয়ে যায়। প্রতিনিধি পরিষদের ৪৩৫ আসনের মধ্যে ২২০টির নিয়ন্ত্রণ ডেমোক্র্যাটদের হাতে এবং ২১২টি নিয়ন্ত্রণ করছেন রিপাবলিকানরা।

সিনেটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে যে কোনো দলকে ৫১ টি আসনে জয় পেতে হবে। রিপাবলিকানরা ২০টি আসনে এবং ডেমোক্র্যাটরা ১২টি আসনে এগিয়ে। জয়-পরাজয় নির্ধারণ করবে তিনটি আসন।

প্রতিনিধি পরিষদে ২১৮টি আসনে জয় পেলে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া যায়। বিভিন্ন জরিপে দেখা গেছে, ২১৬ টি আসনে রিপাবলিকানরা এগিয়ে আছেন। আর ১৯৯টি আসনে এগিয়ে আছেন ডেমোক্র্যাটরা। জয়-পরাজয় নির্ধারণ করবে ২০টি আসন।

বাইডেনের নেতৃত্বে ডোমোক্র্যাট দল আমেরিকার কংগ্রেসের দুই কক্ষে তাদের আসন ধরে রাখতে পারে কি না, মঙ্গলবারের মধ্যবর্তী নির্বাচনে তা নির্ধারিত হয়ে যাবে। অন্য দিকে, দু’বছর আগে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্পের হারের পর হতোদ্যম রিপাবলিকানদের কাছে এই নির্বাচন ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই।

প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হার এবং ক্যাপিটল হিলে হামলার ঘটনায় মামলার মুখে পড়া ট্রাম্পের কাছে এই ভোট খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মধ্যবর্তী নির্বাচনের প্রচারে ধারাবাহিক ভাবে হাজির ছিলেন তিনি।

এই পরিস্থিতিতে ট্রাম্প আদৌ পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন কি না, তা রিপাবলিকানদের ফলাফলের উপর অনেকাংশে নির্ভর করবে বলে মনে করা হচ্ছে।

ট্রাম্পের পাশাপাশি রিপাবলিকান পার্টির শীর্ষ নেত্রী রোনা ম্যাকড্যানিয়েলের কাছে এই ভোট প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে আধিপত্য প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ।

আমেরিকার মধ্যবর্তী নির্বাচন সাধারণত একটা নকশা মেনে চলে। যে দল ক্ষমতায় রয়েছে, কংগ্রেসে তাদের আসন কমে যায়। সেই হিসাবে রিপাবলিকান পার্টি কিছুটা স্বস্তিতে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ।

যদি কোনও মধ্যবর্তী নির্বাচনে চেনা ছকের বাইরে দিয়ে, শাসক দলই কংগ্রেসে বেশি আসন জেতে, তা হলে তা প্রেসিডেন্টের সমর্থনে বিপুল গণভোট বলেই ধরা হয়। সম্ভবত, সেই অঙ্ক মাথায় রেখেই এ বার বিভিন্ন প্রদেশে গিয়ে ধারাবাহিক ভাবে প্রচার করেছেন বাইডেন।

abraham lincoln.01
আব্রাহাম লিংকন -কিংবদন্তি এক প্রেসিডেন্ট -মুচির ছেলে বলে খ্যাপাত সবাই!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Show Buttons
Hide Buttons
Translate »