সকালের চেয়ে রাতে টুথব্রাশ করা ১০০গুন বেশি জরুরী। কারণ, রাতে ঘুমানোর পর Saliva Secretion কম হয়ে থাকে। আর Saliva helps protect teeth and gum from Bacteria – মানে মুখে এন্টিসেপ্টিক হিসাবে কাজ করে স্যালিইভা।
সবচেয়ে আশ্চর্যজনক কথা হচ্ছে, ১ গ্রাম দাঁতে প্রায় ১০ বিলিয়ণ ব্যাক্টেরিয়া থাকতে পারে! আর সমগ্র পৃথিবীতে প্রায় ৭.৭৪ বিলিয়ন জনসংখ্যা বাস করে। তারমানে আপনার আমার দাঁতে যে পরিমাণ জীবাণু আছে, দুনিয়ার সকল মানুষের চেয়েও বেশি।
প্রায় ৪০০ ধরণের ব্যাক্টেরিয়ায় আমাদের oral cavity রয়েছে। এদের মধ্য বেশিরভাগ Gum positive Bacteria, আর এদের ৯৯ পার্সেন্টই ক্ষতিকারক।
Salivary Glands এর গঠন:
Parotid gland+Submandibular gland+Sublingual gland এর সমন্বয়ে Salivary glands গঠিত। একজন মানুষের গড়ে প্রতিদিন ৫০০ মি.লি থেকে ১.৫ লিটার Saliva Secretion হয়ে থাকে। এরা আবার serous, mucous, seromucous এর সমন্বয়ক। যা আমাদের দাঁত, মাড়ি, মুখ গহব্বরকে জীবাণুর হাত থেকে রক্ষা করে।
আজব কথা হচ্ছে, যদি আমাদের মুখগহ্বররে salivary Secration না হতো, তাহলে আমাদের মুখের Ulceration এর জন্য নানা রকম রোগে আক্রান্ত হয়ে খুব দ্রুতই আমরা মারা যেতাম, যেমন- ওরাল ক্যান্সার।
এছাড়াও আশঙ্কাজনক বিষয় হচ্ছে, আপনার দাঁতে সমস্যা দেখা দিলে আপনার কানের সমস্যাও দেখা দিতে পারে। এবং Oral cavity এর জীবাণুর জন্য আপনার হৃদরোগ ও Respiratory Tract এ রোগ হতে পারে এবং ক্রমানুসারে আপনার Brain -এ আক্রমণ করতে পারে, যেমন মেনিনজাইটিস!
সুতরাং রাতে টুথব্রাশ না করা হলে ব্যাক্টেরিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভবনা সবচেয়ে বেশি। কারণ, রাতে আমরা যেসব খাবার খাই সেসব খাদ্য কনিকা দাঁতের মাঝে থেকে যায়, যা থেকে ক্যাভিটি তৈরি হয়। এজন্য আমাদের অবশ্যই ঘুমানোর আগে দাঁত ব্রাশ করা জরুরী।
দাঁতের সুরক্ষায় কিছু করণীয়:
১. প্রতিদিন রাতে ও সকালে ব্রাশ করা খুবই জরুরী। কিন্তু, আমাদের দেশে উল্টো নিয়ম, সকালে টুথব্রাশ করেই খালাশ!
২. ব্রাশ ছোট আকারে হলে ভাল হয়, বিশেষ করে ৪৫ ডিগ্রী এঙ্গেলে ব্রাশ করা দরকার।
৩. তিনমাস পরপর টুথ ব্রাশ চেঞ্জ করা প্রয়োজন।
৪. একজনের টুথব্রাশ আরেকজনের কখনোই ব্যবহার করা উচিৎ নয়।
৫. ব্রাশ করার পর মিষ্টিজাতীয় খাবার, ফলমুল, ঠান্ডাজাতীয় খাবার, যেমন আইসক্রিম খাওয়া পরিহার করতে হবে। এতে আপনার মুখ ও দাঁতের সর্বনাশ হতে পারে!
ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন। সময় থাকতে দাঁতের যত্ন নিন!