জিনসেং – অফুরন্ত শক্তির উৎস, সর্ব রোগের মহৌষধ!

এনার্জি বাড়াতে এবং অবসন্নতা কাটিয়ে উঠতে জিনসেং এর ভূমিকা দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে। যারা মানসিক এবং শারীরিকভাবে ক্লান্ত বোধ করছেন তাদের জন্য এই ভেষজ উপাদানটি দারুণ কার্যকরী।

পরীক্ষায় দেখা গেছে, এটি  ক্যানসার আক্রান্ত রোগীদের দুর্বলতা কাটিয়ে উঠতে সহায়তা করে। ক্লান্তি কমাতে এবং শারীরিক কর্মক্ষমতা বাড়াতে জিনসেং এর ব্যবহার অতুলনিও।

জিনসেং হল মূলত, জিনসেং গাছের মূল। দুই ধরণের জিনসেং ঔষধি গুণসম্পন্ন হিসেবে পরিচিত – অ্যামেরিকান এবং এশিয়ান। এর মধ্যে এশিয়ান জিনসেং অনেক বেশি কার্যকরী। এই দুই ধরণের জিনসেং প্যানাক্স জিনসেং নামে পরিচিত।

প্যানাক্স শব্দটি গ্রীক শব্দ “Panacea” থেকে এসেছে, এর অর্থ হল “All Healer” বা সর্ব রোগের ঔষধ। জিন সাদা (খোসা ছাড়ানো) ও লাল (খোসা সমেত) এই দুই রকম পাওয়া যায়।

খোসা সমেত অবস্থায় এটি অনেক বেশি কার্যকরী। জিনসেং এর মধ্যে উপস্থিত জিনসেনোসাইড নামক উপাদানটি এর কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

এনার্জি বুস্টার হিসেবে যুগ যুগ ধরে কোরিয়াতে এই পানীয়র ব্যবহার চলে আসছে। জিনসেং কে “Wonder Herbs” বা আশ্চর্য লতা বলা হয়। চীনে সহস্র বছর ধরে জিনসেং গাছের মূল আশ্চর্য রকম শক্তি উৎপাদনকারী পথ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। অনেকে এটি চা হিসেবে খেয়ে থাকেন।

জিনসেং এর প্রকারভেদ

জিনসেং এর পাঁচ রকম প্রকারভেদ রয়েছে সেগুলি হল – এশিয়ান , অ্যামেরিকান , সাইবেরিয়ান , ইন্ডিয়ান এবং ব্রাজিলিয়ান জিনসেং। এই প্রতিবেদনে আমরা এশিয়ান এবং অ্যামেরিকান জিনসেংয়ের উপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করব। কারণ এতে সর্বাধিক পরিমাণে জিনসেনোসাইড রয়েছে, যা জিনসেংয়ের অন্যতম প্রধান উপকারী উপাদান।

জিনসেং এর উপকারিতা

১. এনার্জি বর্ধক: এনার্জি বাড়াতে এবং অবসন্নতা কাটিয়ে উঠতে জিনসেং এর ভূমিকা দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে। যারা মানসিক এবং শারীরিকভাবে ক্লান্ত বোধ করছেন তাদের জন্য এই ভেষজ উপাদানটি দারুণ কার্যকরী। পরীক্ষায় দেখা গেছে, এটি  ক্যানসার আক্রান্ত রোগীদের দুর্বলতা কাটিয়ে উঠতে সহায়তা করে। ক্লান্তি কমাতে এবং শারীরিক কর্মক্ষমতা বাড়াতে জিনসেং এর ব্যবহার অতুলনিও।

২. প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়: পরীক্ষায় প্রমাণিত, জিনসেং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে সর্দি-কাশির সমস্যা কমানয় সহায়ক। আরও একটি কোরিয়ার গবেষণায় দেখা গেছে, জিনসেং ম্যাক্রোফেজস, প্রাকৃতিক ঘাতক কোষ, টি সেল, বি সেল, ডেন্ড্রিটিক সেল সহ বিভিন্ন ধরণের প্রতিরোধক কোষকে নিয়ন্ত্রণ করে। জিনসেংয়ের এই উপাদান জ্বালা যন্ত্রণা কমায় এবং জীবাণু সংক্রান্ত সমস্যা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।

৩. মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়ায়: জিনসেং মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। দক্ষিণ কোরিয়ার একটি গবেষণায় দেখা গেছে, এটি অ্যালজাইমার সমস্যা সমাধান করতে পারে অনেকাংশেই।

৪. যৌনক্ষমতা বর্ধক: জিনসেংকে অনেকে ভেষজ ভায়াগ্রা বলে থাকে, এর পিছনে অবশ্য কারণও রয়েছে। গবেষণায় প্রমাণিত, ইরেকটাইল (বা যৌন) কর্মহীনতার চিকিৎসার ক্ষেত্রে এটির  কার্যকারিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আরেকটি উপায়েও এটি পুরুষদের যৌনক্ষমতা বৃদ্ধি করে তা হল, এটি নাইট্রিক অক্সাইডের মাত্রা বাড়ায় যা লিঙ্গকে শিথিল করে এবং রক্তপ্রবাহকে উদ্দিপ্ত করে। এর  চা উদ্ভিদ উৎস থেকে প্রাপ্ত ফাইটো টেস্টোস্টেরনের উৎস। জিনসেং শুক্রাণু গণনাকে উন্নত করে এবং এড্রেনাল এবং প্রোস্টেট গ্রন্থিগুলির কার্যকারিতা বাড়ায়।

৫. ক্যানসার প্রতিরোধক: টিউমার বৃদ্ধি রোধ করার ক্ষমতা একে ক্যানসারের অন্যতম শক্তিশালী প্রতিরোধক হিসেবে গড়ে তুলেছে। জিনসেং টি সেল এবং এনকে সেলগুলির (প্রাকৃতিক ঘাতক কোষ) কার্যকারিতা বাড়িয়ে কোষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নত করে। এটি অক্সিডেটিভ স্ট্রেসের বিরুদ্ধেও লড়াই করে এবং ক্যানসার কোষের মৃত্যু ঘটায়। পরীক্ষায় আরও দেখা গেছে, জিনসেংয়ের মধ্যে উপস্থিত জিনসেনোসাইডগুলি ফুসফুসের ক্যানসার প্রতিরোধ করে এবং কিডনি, ডিম্বাশয়, পেট, ত্বক এবং জরায়ুর ক্যানসার প্রতিরোধ করতে পারে।

৬. ওজন কমায়: জিনসেং পরিপাক ক্ষমতা বাড়ায় ফলে, শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। একটি পরীক্ষায় দেখা গেছে, কীভাবে জিনসেং ইঁদুরের দেহের ওজন কমাতে পারে। অন্যান্য পরীক্ষায় এর স্থূলতা বিরোধী প্রভাবও প্রমাণিত হয়েছে। তবে কিছু ক্ষেত্রে এটি ক্ষুধা হ্রাস করে যা এর অন্যতম একটি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও বটে।

৭. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে: বেশকিছু পরীক্ষায় দেখা গেছে অ্যামেরিকান জিনসেং  টাইপ-২ ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। পরীক্ষায় আরও দেখা গেছে, জিনসেং ইনসুলিন সংবেদনশীলতার উন্নতি করে এবং যাদের ডায়াবেটিসের সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য এটি সুস্বাস্থ্যকর।

৮. স্ট্রেস কমায়: পরীক্ষায় দেখা গেছে, জিনসেং মুড ঠিক রাখতে এবং মানসিক চাপ কমাতে কার্যকরী।

৯. অ্যান্টি এজিং: গবেষণা অনুযায়ী জিনসেং অ্যান্টি এজিং উপাদান হিসেবে কাজ করে।  ভেষজ এই ঔষধি কোলাজেন বাড়িয়ে তুলতে পারে, যা ত্বকের বলিরেখা মুক্ত করে এবং উজ্জ্বলতা বাড়ায়।

১০. জ্বালা–যন্ত্রণা কমায়: জিনসেংয়ের মধ্যে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি প্রভাব লক্ষ্য করা যায়। বিশেষজ্ঞদের মতে এই প্রভাব জিনসেনোসাইডের ভূমিকাকে প্রভাবিত করে। যাদের আর্থারাইটিস বা গাটের ব্যথা রয়েছে তাদের জন্য এটি উপকারী। তাছাড়াও এটি পেটে ব্যথা ও অন্ত্রে জ্বালা-যন্ত্রণা কমাতে দারুণ কাজ করে।

১১. ফুসফুসের কার্যকারিতা উন্নত করে: পরীক্ষায় দেখা গেছে, জিনসেং ফুসফুসে ব্যকটেরিয়ার সংক্রমণ প্রতিরোধ করে এবং ফুসফুসের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করে। Chronic obstructive pulmonary disease (COPD) হচ্ছে ফুসফুসের অন্যতম সাধারণ একটি সমস্যা। এক্ষেত্রে রোগীদের শ্বাস নিতে কষ্ট হয়, বুকে কফ জমে, কারও ক্ষেত্রে ফুসফুসের ক্ষয় ঘটে। জিনসেং গ্রহণে সার্বিকভাবে COPD এর অবস্থার উন্নতি হয় বলে গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে।

১২. ত্বকের সুস্বাস্থ্য: জিনসেংয়ের অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান রোজেসিয়া সহ ত্বকের নানা সমস্যা সমাধানে দারুণ কাজ করে। ত্বকে পুষ্টি জোগায় এবং উজ্জ্বল করে তোলে।

১৩. চুলের যত্ন: জিনসেং চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। জিনসেং এক্সট্রাক্ট চুলের ফলিকলগুলিকে শক্তিশালী করে এবং চুল পড়া রোধ করে। স্কাল্পের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখে এবং চুলে পুষ্টি জোগায়।

জিনসেং এর পুষ্টিমান

পুষ্টিগুণ পরিমাণ RDI (Recommended Daily Intake)
ক্যালোরি ২৫
ফ্যাট থেকে ক্যালোরিগুলি ০%
টোটাল ফ্যাট ০.০ g. ০%
স্যাচুরেটেড ফ্যাট ০.০ g. ০%
কোলেস্টেরল ০.০ g. ০%
সোডিয়াম ৫ mg. ০%
কার্বোহাইড্রেট ৬.০ g. ২%
ডায়েটারি ফাইবার ০.০ g. ০%
সুগার ৬.০ g. ২%
প্রোটিন ০.০ g. ০%
ভিটামিন এ ০.০ g. ৪%
ভিটামিন সি ৬%
ক্যালসিয়াম ০%
আয়রন ০%

জিনসেংএর মুল বা শিকড় কীভাবে ব্যবহার করবেন

জিনসেং চা হিসেবে গ্রহণ করা সবচেয়ে সহজ এবং উত্তম পন্থা। এই উপায়ে আপনি সবচেয়ে বেশি উপকার পাবেন। কাছাকাছি কোনও দোকান থেকে এর টি ব্যাগ কিনে ব্যবহার করতে পারেন। নিম্ন-বর্ণিত উপায়ে এর মুল বা শিকর ব্যবহার করতে পারেনঃ

শিকড়ের খোসা ছাড়িয়ে নিন। তারপর গুঁড়ো বা শুকনো করে শিকড় ব্যবহার করতে পারেন।

এক চামচ শিকড়ের গুঁড়ো নিন এবং একটি ধাতব পাত্রে রাখুন। ভালো করে ফুটিয়ে নিন এবং ২ থেকে ৩ মিনিটের জন্য ঠান্ডা হতে দিন। একটি চায়ের কাপে ঢেলে নিন এবং চুমুক দিয়ে খান।

জিনসেং কোথায় পাওয়া যায়?

বাজারে যে কোনও বড় হেল্থ ফুড স্টোরে সহজেই এটি পাওয়া যায় – চা, পাউডার হিসাবে। ঔষধের দোকানে ট্যাবলেট ও শিরাপ হিসাবেও পাওয়া যায়।  আজকাল অনলাইনেও কিনতে পাওয়া যায়।

জিনসেং এর অপকারিতা, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

এর উপকারিতা যেমন রয়েছে তেমনই খারাপ প্রভাবও রয়েছে। জিনসেংয়ের অন্যতম পাশ্বপ্রতিক্রিয়া হল ঘুমের সমস্যা। চা, কফির মতো এতে ঘুম আসতে দেরি হয়।

জিনসেং স্নায়ুতন্ত্রকে উত্তেজিত করে ও মানসিক ক্ষমতা বাড়ায়। এর অন্যান্য সাধারণ সমস্যা হল ডায়ারিয়া, মাথাব্যথা, হার্ট বিট বাড়া  এবং ব্লাড প্রেসারের সাময়িক তারতম্য। এছাড়াও যে যে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা যায়ঃ

গর্ভবতী এবং মায়েদের সমস্যাঃ

জিনসেংয়ের মধ্যে কিছু উপাদান রয়েছে যা গর্ভপাতের কারণ হতে পারে। যারা সন্তানকে স্তন্যপান করান সেইসমস্ত মায়েদের জিনসেং এড়িয়ে চলা ভালো।

বাচ্চাদের সমস্যাঃ

ছোটো বাচ্চাদের জন্য জিনসেং নিরাপদ নয়। তাই যতটা সম্ভব তাদের থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করুন।

ডায়াবেটিস সমস্যাঃ  

জিনসেং ব্লাড সুগারের মাত্রা কমিয়ে দিতে পারে, বিশেষ করে যারা ব্লাড সুগারের ওষুধ খাচ্ছেন তাদের।

 হার্ট কন্ডিশনঃ

জিনসেং হার্টরেট এবং ব্লাড প্রেসারকে প্রভাবিত করতে পারে। যাদের হার্টের সমস্যা রয়েছে তারা এটি ব্যবহারের আগে অবশ্যই ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন।

অঙ্গ প্রতিস্থাপনের সময় সমস্যাঃ

জিনসেং যেহেতু রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, তাই অস্থায়ীভাবে ইমিউন সিস্টেমের কার্যকারিতা হ্রাস করার জন্য প্রদত্ত ওষুধের কার্যকারিতা হ্রাস করতে পারে।

রক্তপাতের সমস্যাঃ

জিনসেং রক্ত জমাট বাঁধার ক্ষেত্রে হস্তক্ষেপ করতে পারে। তাই রক্তক্ষরণের সময় এর ব্যবহার এড়িয়ে চলুন।

জিনসেং শিরাপ ট্যাবলেট এর ব্যবহারবিধি, কতটা পরিমাণে খাবেন

University of Maryland Medical Center এর মত অনুযায়ী এশিয়ান জিনসেং পূর্নবয়স্করা ২-৩ সপ্তাহ টানা খেয়ে ২ সপ্তাহ বিরতি দিয়ে আবার খেতে পারবেন।

আমেরিকান জিনসেং টানা ৮ সপ্তাহ খেয়ে ২ সপ্তাহ বিরতি দিয়ে আবার খেতে পারবেন। যেহেতু এটি একটি অতি কার্যকরী ওষুধ, তাই দীর্ঘদিন ব্যবহারের কোন রকম ক্ষতি হতে পারে ভেবে এটি বেশিদিন ব্যবহার করতে মানা করা হয় (যদিও দীর্ঘ ব্যবহারে ক্ষতির কথাটার কোন বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নেই)।

জিনসেং সাধারণত ট্যাবলেট, পাউডার, ড্রিঙ্কস হিসেবে খাওয়া হয়, এবং এদের গায়েই ব্যবহারবিধি লেখা থাকে। ট্যাবলেট বা পাউডার এর জন্য ডোজঃ University of Michigan Health System এর রিপোর্ট অনুযায়ী, মানসিক ক্ষমতা বৃদ্ধি ও লিংগ উত্থান এর জন্য ৯০০ মিগ্রা পাউডার করে দৈনিক ৩ বার, শক্তি বা স্ট্যামিনা বৃদ্ধি ও ডায়বেটিস এর জন্য এর ডোজ হলো ২০০ মিগ্রা পাঊডার করে দিনে ১ বার, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য ১০০ মিগ্রা করে দিনে ২ বার।

SS Cream এর জন্য ডোজ হলো ০.২ মিগ্রা। সরাসরি মূল খেলে ০.৫-২ গ্রাম মুল খাওয়া যাবে দৈনিক ১ বার। মূল কিনে খাওয়া টাই সবচেয়ে সাশ্রয়ী হয়। মূল টা চিবিয়ে খাওয়া যায়, গুড়া করে জিভের নীচে রেখে দিয়ে খাওয়া যায়, পানিতে এক ঘন্টা ভিজিয়ে রেখে পানি সহ খাওয়া যায় অথবা পানিতে ৫ মিনিট ফুটিয়ে পানি সহ খাওয়া যায়।

তবে যারা বিভিন্ন ধরনের শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন তাদের ডাক্তারের পরামর্শেই গ্রহণ করা অত্যাবশ্যক।

জিনসেং গাছের মূল এর উপকারিতা(ভিডিও)

উপসংহার

জিনসেং ব্যবহারের অন্যতম আকর্ষণীয় বিষয় হল, কম মাত্রায় এর ব্যবহার করলে এর উপকারিতা সবচেয়ে বেশি। সম্প্রতি একটি পরীক্ষায় ডোজ অনুসারে এর ফলাফলের বিভিন্নতা দেখা গেছে। ৪০০ মিলিগ্রামের তুলনায় ২০০ মিলিগ্রাম অনেক বেশি কার্যকর হিসেবে প্রমাণিত।

জিনসেং এর উপকারিতা পেতে সতর্কভাবে এর ব্যবহার প্রয়োজন। জিনসেং এর গুণ বর্ণনা করে বলা হয় যে এটি “Adaptogen” অর্থাৎ এটি সব পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাওয়াতে সাহায্য করে। এটি ব্যবহারে মানুষের দেহে শারীরিক শক্তি-সামর্থ্য, মানসিক ক্ষমতা, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।

বুলেটপ্রুফ কফি রেসিপি, উপকারিতা – অফুরন্ত শক্তির উৎস !

হলুদ দুধ স্বাস্থ্যের জন্য কতটা উপকারী ? হলদে দুধ বানানোর নিয়ম

Related Post