অ্যালোভেরা জেল – শরীর ও ত্বকের সৌন্দর্যের গোপন রহস্য !

প্রাকৃতিক গুণসম্পন্ন ভেষজ উদ্ভিদ অ্যালোভেরা বা ঘৃতকুমারীর উপকারিতা অপরিসীম। অ্যালোভেরা জেল, এটি রস হিসেবে খাওয়া যায় আবার ত্বকের প্রদাহে প্রতিষেধক হিসেবেও লাগানো যায়।

এতে রয়েছে ক্যালসিয়াম, সোডিয়াম, জিংক, আয়রন, পটাশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, জিঙ্ক, ফলিক অ্যাসিড, অ্যামিনো অ্যাসিড ও ভিটামিন-এ, বি-৬, বি-২ ইত্যাদি, যা স্বাস্থ্যরক্ষার বিভিন্ন কাজে লাগে।

অ্যালোভেরা গাছের পাতার ভেতরে থাকা জেলের প্রায় পুরোটাই পানি। পানির পাশাপাশি নানা ধরনের ভিটামিন ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট মেলে এই জেল থেকে।

অ্যালোভেরা, অ্যালোভেরা জেল এর ব্যবহার

অ্যালোভেরা জেল যেমন রূপচর্চায় ব্যবহার করা যায়, তেমনি পুষ্টিকর পানীয় হিসেবেও এর রয়েছে কদর। জেনে নিন এর কিছু ব্যবহার সম্পর্কে।

  1. অ্যালোভেরা জেলে থাকা ভিটামিন-সি, ভিটামিন-ই এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট শুষ্ক ত্বকের যত্নে অনন্য। ময়েশ্চারাইজার হিসেবে এটি ব্যবহার করতে পারেন ত্বকে। ত্বক হবে নরম ও উজ্জ্বল।
  2. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ও হজমের সমস্যা দূর করতে অ্যালোভেরার পানীয় পান করতে পারেন।
  3. ত্বকের মরা চামড়া দূর করতে সাহায্য নিতে পারেন অ্যালোভেরা জেলের। মোটা দানার চিনির সঙ্গে এই জেল মিশিয়ে ত্বকে ম্যাসাজ করুন। কিছুক্ষণ পর ধুয়ে ফেলুন।
  4. ত্বকের রোদে পোড়া দাগ দূর করতে ব্যবহার করতে পারেন অ্যালোভেরা জেল।
  5. ত্বক থেকে মেকআপ ওঠাতে তুলায় লাগিয়ে অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করুন।
  6. লালচে হয়ে যাওয়া ত্বকে কিংবা অ্যালার্জির প্রকোপ কমাতে এই জেল ব্যবহার করা যায়।
  7. ফেটে যাওয়া গোড়ালির যত্নে অতুলনীয় অ্যালোভেরা জেল। আধা কাপ ওট, আধা কাপ কর্নমিল, ৪ টেবিল চামচ অ্যালোভেরা জেল ও আধা কাপ লোশন একসঙ্গে মিশিয়ে গোড়ালিতে ঘষুন। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলুন।
  8. পোকার কামড়ের স্থানে লাগিয়ে রাখতে পারেন অ্যালোভেরা জেল।
  9. ভ্রূ লম্বা ও ঘন করতে অ্যালোভেরা জেল লাগিয়ে রাখতে পারেন।
  10. শেভিং জেলের বিকল্প হিসেবে অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করা যায়। এজন্য ১/৩ কাপ অ্যালোভেরা জেল, ১/৪ কাপ লিকুইড সাবান, ১ টেবিল চামচ বাদামের তেল, ১ চা চামচ ভিটামিন-ই অয়েল এবং ১/৪ কাপ পানি একসঙ্গে মিশিয়ে ঝাঁকিয়ে নিন।

অ্যালোভেরার উপকারিতা ও ব্যবহার

 রোগ প্রতিরোগ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে: অ্যালোভেরা হলো অ্যান্টি ম্যাইকোবিয়াল এবং অ্যান্টি ফাঙ্গাল উপাদানসমৃদ্ধ একটি গাছ। অ্যালোভেরা জুস নিয়মিত পান করলে রোগ-প্রতিরোগ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং দেহের টক্সিন উপাদান দূর করে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।

ত্বকের যত্নে: ত্বকের যত্নে অ্যালোভেরার ব্যবহার সম্পর্কে আমরা সবাই কম-বেশি জানি। অ্যালোভেরার অ্যান্টি ইনফ্লামেনটরি উপাদান ত্বকের ইনফেকশন দূর করে ব্রণ হওয়ার প্রবণতা কমিয়ে দেয়।

হার্ট সুস্থ রাখতে: আপনার হৃদযন্ত্রকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে অ্যালোভেরার জুস। অ্যালোভেরা কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে দেয়। এটি ব্লাড প্রেসারকে নিয়ন্ত্রণ করে রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক রাখে এবং রক্তে অক্সিজেন বহন করার ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। দূষিত রক্ত দেহ থেকে বের করে রক্ত কণিকা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। ফলে দীর্ঘদিন আপনার হৃদযন্ত্র সুস্থ ও সক্রিয় থাকে।

হজমশক্তি বৃদ্ধি করতে: হজমশক্তি বৃদ্ধিতে অ্যালোভেরা জুসের জুড়ি নেই। এটি অন্ত্রের উপকারী ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি করে অন্ত্রে প্রদাহ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া রোধ করে, যা হজমশক্তি বাড়িয়ে থাকে। অ্যালোভেরা ডায়রিয়ার বিরুদ্ধেও অনেক ভাল কাজ করে।

মাংসপেশী ও জয়েন্টের ব্যথা প্রতিরোধে: অ্যালোভেরা মাংসপেশীর ব্যথা কমাতে সাহায্য করে থাকে। এমনকি ব্যথার স্থানে অ্যালোভেরা জেলের ক্রিম লাগালে ব্যথা কমে যায়।

দাঁতের যত্নে: অ্যালোভেরার জুস দাঁত এবং মাড়ির ব্যথা উপশম করে থাকে। দাঁতে কোন ইনফেকশন থাকলে তাও দূর করে দেয়। নিয়মিত অ্যালোভেরার জুস খাওয়ার ফলে দাঁত ক্ষয়রোধ করা সম্ভব।

ওজন হ্রাস করতে: ওজন কমাতে অ্যালোভেরা জুস বেশ কার্যকরী। ক্রনিক প্রদাহের কারণে শরীরে মেদ জমে। অ্যালোভেরা জুসের অ্যান্টি ইনফ্লামেনটরি উপাদান এই প্রদাহ রোধ করে ওজন হ্রাস করে থাকে। পুষ্টিবিদগণ এই সকল কারণে ডায়েট লিস্টে অ্যালোভেরা জুস রাখার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।

ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করতে: অ্যালোভেরা জুস রক্তে সুগারের পরিমাণ ঠিক রাখে এবং দেহে রক্ত সঞ্চালন বজায় রাখে। ডায়াবেটিস শুরুর দিকে নিয়মিত এর জুস খেলে ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করা সম্ভব। সুতরাং খাওয়ার আগে বা খাওয়ার পরে নিয়মিত অ্যালোভেরা জুস পান করুন, তাহলে আপনার ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

ক্যান্সার প্রতিরোধে: গবেষণায় দেখা গেছে যে, অ্যালোভেরায় রয়েছে অ্যালো ইমোডিন, যা স্তন ক্যান্সার বিস্তারকে রোধ করে। এছাড়াও অন্যান্য ক্যান্সার প্রতিরোধে অ্যালোভেরা অনেক কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে।

রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে: অ্যালোভেরার অনেক গুনাগুনের মধ্যে আর একটি হল রক্তচাপ কমাতে এর কোন তুলনা নেই। অ্যালোভেরার ঔষধি গুণ রক্তচাপ কমায় এবং রক্তে কোলেস্টেরল ও চিনির মাত্রা স্বাভাবিক অবস্থায় আনতে সাহায্য করে।

চুল সুন্দর করতে: অ্যালোভেরার গুনাগুন বলে শেষ করা যায় না, মাথায় খুশকি দূর করতে এর কোন তুলনা নেই। এমনকি ঝলমলে চুলের জন্যেও অ্যালোভেরা অনেক উপকারী। সুতরাং চুলের যত্নে অ্যালোভেরা আপনার নিত্যসঙ্গী।

মুখের দূরগন্ধ দূর করতে: অ্যালোভেরায় আছে ভিটামিন সি, যা মুখের জীবাণু দূর করে মাড়ি ফোলা, মাড়ি থেকে রক্ত পড়া বন্ধ করে। গবেষণায় দেখা গেছে, অ্যালোভেরার জেল মাউথ ওয়াশ এর বিকল্প হিসেবেও ব্যবহার করা যায়।

ক্লান্তি দূর করতে: দেহের দুর্বলতা দূর করতে অ্যালোভেরার জুসের গুণ অনেক। আপনি যদি অ্যালোভেরার জুস নিয়মিত পান করেন তাহলে দেহের ক্লান্তি দূর হবে এবং দেহকে সতেজ ও সুন্দর রাখবে।

মুখের ঘা সারাতে: অনেকের মুখে ঘা হয়, আর এই মুখের ঘা দূর করতে অ্যালোভেরা অত্যন্ত কার্যকরী। ঘায়ের জায়গায় অ্যালোভেরার জেল লাগিয়ে দিলে মুখের ঘা ভাল হয়।

ক্ষতিকারক পদার্থ অপসারণ করতে: কিছু ক্ষতিকর পদার্থ দেহের মধ্যে প্রবেশ করে নানা ধরনের রোগের সৃষ্টি করতে পারে। ফলে তা দেহের জন্য মোটেও ভালো কিছু নয়। এই সকল ক্ষতিকর পদার্থ দেহ থেকে অপসারণ প্রয়োজন। অ্যালোভেরার রস পান করলে দেহের ক্ষতিকর পদার্থ প্রবেশ করতে পারে না। আর যদি প্রবেশ করেও ফেলে, তাহলেও অ্যালোভেরার জুস পানে তা অপসারণ হতে সাহায্য করে। এই ক্ষেত্রে অ্যালোভেরার জুসের গুণ অপরিসীম।

কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দূর করতে: অ্যালোভেরার জুসের মধ্যে যে জেল থাকে তার অনেক গুণ। এই জেল নিয়মিত পান করলে পেটের সমস্যা দূর হয়। আর যদি সুষম খাদ্যের পাশাপাশি নিয়মিত অ্যালোভেরার রস পান করেন তাহলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হওয়া সম্ভব। এছাড়া অ্যালোভেরা জেলে প্রায় ২০ রকম অ্যামিনো অ্যাসিড আছে যা ইনফ্লামেশন এবং ব্যাকটেরিয়া রোধ করে হজম, বুক জ্বালাপোড়া রোধ করে থাকে।

অ্যালোভেরা কিভাবে গ্রহন করবেন

এটির রস: অ্যালোভেরার গ্রহণের সহজ উপায় হলো এটির রস। আপনার অ্যালো পাতা ছোট ছোট ভাগে কেটে নিন, পাতার উপরের উজ্জ্বল সবুজ স্তরটি মুছে ফেলুন এবং তারপরে জেলটি বের করে নিন। পাতা এবং জেলের মধ্যে পাতলা হলুদ রঙের ক্ষীর স্তরটিও সরিয়ে ফেলা হয়েছে তা নিশ্চিত করুন। জেলটি ধুয়ে ফেলুন এবং এটি খাদ্য প্রসেসরে নারকেল জল এবং মিষ্টি করার জন্য একটি সামান্য মধু যুক্ত করুন এবং মিশ্রণ করুন। আপনি মিশ্রণে আপেল বা শসার রস সহ আপনার প্রিয় জুস যুক্ত করতে পারেন।

সালাদ ড্রেসিংগুলিতে জেলটি যুক্ত করুন: অ্যালোভেরা জেল সালাদ ড্রেসিংগুলিতে যুক্ত করা যেতে পারে। পাতলা টেক্সচারের কারণে এটি জলপাই তেল, ভিনেগার জাতীয় উপাদানের সাথে সহজে মিশ্রিত করা যায়। অ্যালোভেরা একটি পুষ্টিকর সালাদ ড্রেসিংয়ের জন্য তৈরি করতে পারেন।

এটিকে আইস কিউব হিসাবে বরফ করুন: অ্যালোভেরা জ্বলন প্রশমিত করার জন্য ব্যবহৃত হয়। পাতলা জেলটি একটি আইস-কিউব ট্রেতে ঢেলে এবং হিমায়িত করা যায় এবং তারপরে তাৎক্ষণিকভাবে ত্রাণের জন্য আক্রান্ত স্থানে প্রয়োগ করা যেতে পারে। এই কিউবগুলি স্মুদিতেও   ব্যবহার করতে পারেন। ফলের স্মুদি এবং মিশ্রণের সময় আপনার ব্লেন্ডারে এই অ্যালো জেল কিউবগুলির কয়েকটি যুক্ত করুন।

বাড়িতে খাওয়ার জন্য অ্যালোভেরা তৈরি করার সময় অবশ্যই এটি নিশ্চিত করতে হবে যে ক্ষীরটি সম্পূর্ণরূপে অপসারণ করা হয়েছে কিনা, কারণ এটি উদ্ভিদের একমাত্র অংশের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হতে পারে।

প্রতিদিন অ্যালোভেরা খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয় না এবং আপনার ডায়েটে অ্যালোভেরা যুক্ত করার আগে ডায়েটিশিয়ান বা পুষ্টি বিশেষজ্ঞের সাথে কথা বলাই ভাল।

অ্যালোভেরা নাইট জেল তৈরির নিয়ম

সারাদিন অফিস, সংসার সামলে দম ফেলানোর  সময় নেই। তবে যা কিছুই হোক না কেন ত্বকের যত্ন তো নিতেই হবে। কারণ ঘর থেকে বের হ্ওয়ার পর ত্বক সবচেয়ে বেশি ময়লা হয়।

বিশেষজ্ঞরা বলেন, ঘুম মানুষের শরীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ রাখে। ঘুম শারীরিক ক্লান্তি দূর করে কাজে ইচ্ছে বাড়ায়। তাই রাতে ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমাতে হবে।

শুধু দিনের বেলায় ময়শ্চারাইজার ও সানস্ক্রিনের প্রলেপ দিয়ে ত্বককে ঢেকে রাখলে হবে না। রাতের ত্বকের পরিচর্যা করতে হবে।

নাইট ক্রিম বরাবরই রুপচর্চায় অন্যতম প্রয়োজনীয় উপকরণ। তবে বাজারের নামীদামি নাইট ক্রিমের রাসায়নিক ত্বকের ক্ষতি করে। তাই ব্যবহার করতে পারেন ঘরে তৈরি অ্যালোভেরা জেল।

অ্যালোভেরার ছোঁয়ায় ত্বকও অনেক বেশি সতেজ হবে। অ্যাসেনশিয়াল অয়েলের সঙ্গে অ্যালোভেরা জেলকে ভাল করে মিশিয়ে আপনার ত্বকে ব্যবহার করুন। এতে ত্বক মসৃণ থাকবে। আর বাড়তি তেলও জমবে না ও ব্রণের সমস্যা থেকে মুক্তি মিলবে।

আসুন জেনে নেই কীভাবে বানাবেন অ্যালোভেরা নাইট ট্রিটমেন্ট জেল-

যেভাবে তৈরি করবেনঃ

এক টেবিল চামচ অ্যালোভেরা জেল, এক চা চামচ ল্যাভেন্ডার অয়েল আর চার ফোঁটা প্রিমোরোজ অয়েল একটা পাত্রে ভাল করে মিশিয়ে নিন।  যদি বেশি করে তৈরি করে রাখেন, তবে মিশ্রণটি একটি কাঁচের কৌটায় রেখে দিন। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে ভালো করে মুখ পরিষ্কার করে নিয়ে মেখে নিন।

এরপর হাত দিয়ে হালকা মাসাজ করে নিতে পারেন। এতে ক্রিমের পুষ্টি আপনার ত্বকের গভীরে আরো ভালোভাবে ঢুকবে।

অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করার আগে একটি বিষয় মাথায় রাখা অবশ্যই জরুরি। বাড়িতে অ্যালোভেরা গাছ থাকলে তা থেকে পাতা কেটে নিয়ে সেই জেল ব্যবহার করুন।

একটি একদম স্বচ্ছ অ্যালোভেরা জেলের কৌটো কিনে নিন।

অ্যালোভেরার অপকারিতা

চিকিৎসকদের মতে, অ্যালোভেরা জেল নিরাপদ যখন এটি ওষুধ বা জেল হিসেবে চামড়ায় প্রয়োগ করা হয়। কিন্তু প্রাকৃতিক উপায়ে যখন অ্যালোভেরার ভেতরের রসালো পদার্থটি বের করা হয় তখন এর সঙ্গে ভুলবশত ‘অ্যালো-লেটেক্স’ বের হতে পারে। যা শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর।

এই ল্যাটেক্স অ্যালোভেরার পাতার মধ্যেই থাকে। যার রঙ হলদে। যদি অ্যালোভেরার শাঁসের সঙ্গে এই ল্যাটেক্স মিশে যায় আর তা যদি খাওয়া হয় তবে এটি শরীরের বিভিন্ন রোগের কারণ হতে পারে।

অ্যালো-ল্যাটেক্স পেট ব্যথা এবং র‍্যাশ জাতীয় কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হতে পারে। আর অজান্তেই যদি ল্যাটেক্স এর দীর্ঘমেয়াদি ব্যবহার করা হয় তবে ডায়রিয়া, কিডনি সমস্যা, প্রস্রাবে রক্ত, পটাশিয়াম ঘাটতি, পেশী দুর্বলতা, ওজন হ্রাস, এমনকি ল্যাটেক্সের উচ্চমাত্রা কিডনি ফেইলিওর এর মত অবস্থা হতে পারে।

অ্যালো-ল্যাটেক্স ব্যবহারের ফলে গর্ভের বাচ্চা নষ্ট হয়ে যেতে পারে। সেইসঙ্গে মায়ের বুকের দুধ সন্তানকে খাওয়ার মাধ্যমেও এর ক্ষতিকর প্রভাব মায়ের শরীর থেকে সন্তানের শরীরে প্রবেশ করতে পারে।

শিশুদের ক্ষেত্রেও ত্বকে ব্যবহারের জন্য অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে অ্যালো-ল্যাটেক্স খাওয়ানোর মাধমে শিশুর পেট ব্যথা ও ডায়রিয়া হতে পারে।

অ্যালোভেরা জেল ঘরে তৈরী করুন খুব সহজেই(ভিডিও)

উপসংহার

অ্যালোভেরার উপকারিতা কারো অজানা নয়। এতে রয়েছে ক্যালসিয়াম, সোডিয়াম, জিংক, আয়রন, পটাশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, জিঙ্ক, ফলিক অ্যাসিড, অ্যামিনো অ্যাসিড ও ভিটামিন-এ, বি-৬, বি-২ ইত্যাদি যা স্বাস্থ্যরক্ষার বিভিন্ন কাজে লাগে। কিন্তু এগুলোর সঠিক প্রয়োগ না হলে এমনকি অতিরিক্ত প্রয়োগের ক্ষেত্রে শরীরে আরো রোগ ব্যাধির বিস্তার ঘটতে পারে।

Related Post